আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বোমা হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর এলাকার সাধারণ মানুষদের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির ইসলামপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
আরও পড়ুন: গাজায় শরণার্থী ক্যাম্পে হামলায় নিহত ৪৫
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) এ বিক্ষোভের স্থান হিসেবে আল আকসা মসজিদ চত্বরের নাম উল্লেখ করে তারা।
এর আগে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলে অতর্কিতে হামলা ও অনুপ্রবেশ করে নির্বাচারে হত্যাযজ্ঞ চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকায় একই দিনে বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্রান্সে বিক্ষোভ-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এ সংঘাতে শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ২ পক্ষের নিহতের সংখ্যা ২৮০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক রয়েছেন ১ হাজার ৩ শতাধিক। অন্যদিকে গাজা ভূখণ্ডে ১ হাজার ৫ শতাধিক মানুষ নিহত হন।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যমতে, এ ৬ দিনে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৬০০০ বোমা ফেলা হয়েছে।
আজ এক বিবৃতিতে আল আকসা চত্বরে বিক্ষোভের পাশাপাশি ইসরাইলি বাহিনী ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের আহ্বান জানায় হামাস।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন ইসরায়েলের তথ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, আল আকসা মুসলিমদের কাছে মক্কার কাবা ও মদিনার মসজিদের নববির পর তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। এ মসজিদ চত্বরের অদূরেই অবস্থিত ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান টেম্পল মাউন্ট।
২০২১ সালের মে মাসে আল আকসা চত্বরে বিক্ষোভের জেরে ইসরাইলি বাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনিদের সংঘাত ঘিরে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে হামাস ও ইসরাইল। পরে মিসরের মধ্যস্থতায় ১১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছিল। এর ২ বছর পর অতিক্রান্ত হওয়ায় আবারও ইসরাইলে হামলা চালিয়েছে হামাস। সূত্র: রয়টার্স
সান নিউজ/এনজে