আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। এতে ২ পক্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২৩০০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইসরায়েলে ১২০০ জন এবং ফিলিস্তিনে ১১০০ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিহারে ট্রেন দুর্ঘটনা, হতাহত শতাধিক
ইসরায়েলের অব্যাহত ব্যাপক বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সেখানে খাদ্য,পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় ও নির্বিচারে এ হামলার ফলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে উপত্যকাটি। গাজা ভূখণ্ডে এখন চারদিকে কেবল বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর। আর আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনের খবরে বলা হয়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে প্রায় ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। গাজায় জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
আরও পড়ুন: গাজায় ১ ঘণ্টার হামলায় নিহত ৫১
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, হাসপাতালগুলোতে আপাতত জেনারেটর দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সেটিও শেষ হয়ে যাবে।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলি হামলায় শনিবার (৭ অক্টোবর) থেকে এ পর্যন্ত তাদের কমপক্ষে ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ইসরায়েলের হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে কমপক্ষে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৯ জন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরোধী নেতা বেনি গানৎসকে নিয়ে যুদ্ধকালীন সরকার গঠন করেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, হামাস সেখানকার একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরের মধ্যে শনিবার সকালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। এ সময় ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫০০০-এরও বেশি রকেট হামলা চালায় সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন
এ হামলার ৫ ঘণ্টা পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুজনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুদ্ধের ঘোষণা দেন।
চলমান এ যুদ্ধে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে সংকট বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার সহায়তা চেয়েছে ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জাতিসংঘ ভিত্তিক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
জাতিসংঘ বলছে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে আগে থেকেই প্রায় আড়াই লাখ শরণার্থী ছিলেন। যুদ্ধ শুরুর পর গত কয়েক দিনে এ শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আরও আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: কিবুৎজে ৪০ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
এ অতিরক্ত শরণার্থীদের খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সুরক্ষার জন্য এ অর্থ চাইছি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল তিনি বলেন, গাজায় অবশ্যই খাবার, পানি, জ্বালানিসহ জরুরি জীবন রক্ষাকারী পণ্য যেতে দিতে হবে। আমাদের দ্রুত ও নির্বিঘ্ন মানবিক সহায়তা প্রদানের সুযোগ পেতে হবে।
সান নিউজ/এনজে