আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই ভারতীয় নৌসেনা বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল বলে গতকাল রবিবার (৩০ আগস্ট) ভারতের সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। অন্য দিকে একই দিন ফের চীন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায় ভারত। ওই সাগরের অধিকাংশ অংশই নিজেদের বলে দাবি করে বেইজিং। সেখানে অন্য দেশের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাদের। যদিও মার্কিন নৌসেনারা সেখানে বেশ কয়েকটি জাহাজ মোতায়েন রেখেছে।
ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন নৌসেনাদেড় সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এই কৌশলের ফলও মিলেছে বলে দাবি করছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক স্তরে ওই জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল চীন। যেটিকে ভারত এক ধরণের সফলতা বলে মনে করছে।
সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে মালাক্কা প্রণালী ও যে পথ দিয়ে চীনা নৌ-সেনাদের জাহাজ ভারত মহাসাগরে ঢোকে। সেখানেও যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছিল।
ভারতীয় নৌ-বাহিনী সূত্র জানায়, মালাক্কা প্রণালীতে চীনা নৌবহরের উপরে নজরদারির জন্য শীঘ্রই স্বয়ংক্রিয় ডুবোজাহাজ এবং বেশ কিছু সেন্সর মোতায়েন করবে দিল্লি।
অন্যদিকে, সিকিম সীমান্তের ডোকা লা ও নাকু লা-র দুটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে একই দিন চীন প্রসঙ্গে সরকারকে কটাক্ষ করে বার্তা দিয়েছে অন্যতম প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র গৌরব গগৈয়ের বক্তব্য, ওই দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ডোকা লা ও নাকু লা-র কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে চীন। গৌরবের কথায়, ‘‘এটা বিপজ্জনক। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারকে চীনা বিস্তারবাদের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে আসছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে নীরব। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ যে কোনও বিপদের মোকাবিলা করার শক্তি ও বুদ্ধি ভারতবাসীর আছে।’’
গৌরবের বক্তব্য, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও ধরনের বিপদের মোকাবিলা করতে সক্ষম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কেবল প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই ব্যস্ত। ফলে ভারতীয় বাহিনীর শক্তিকে খাটো করা হচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাদাখে কেন এত বাহিনী মোতায়েন হয়েছে, সে প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দিতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সরকার কেবল মিথ্যের উপরে নির্ভর করে চলছে। চীনকে কৌশলগত ভাবে ধাক্কা দেওয়ার বদলে ফাঁপা বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। সরকারকে বলছি, এখন কাজ করার সময়।’
সান নিউজ/ এআর