আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে এক রাতেই ৪০টির মতো ড্রোন চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ দাবি করেছে ৩০টিরও বেশি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। রাশিয়া যেসব ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে সেগুলো ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ ড্রোন বলে জানা যায়।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইউক্রেনের আঞ্চলিক ও সামরিক কর্মকর্তারা এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেয়াল ধসে ৩ শিশুর মৃত্যু
সাউথ মিলিটারি কমান্ড বলছে, ভিনিতসিয়া অঞ্চলে ২০টি ড্রোন ও দক্ষিণাঞ্চলীয় ওডেসা এবং মিকোলাইভ অঞ্চলে ১০টির বেশি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
সাউদার্ন কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক ইউক্রেনের একটি টেলিভিশনকে জানান, দানুব নদীসহ বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই এসব হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়েতে খনি ধস, নিহত ৬
গত জুলাই মাস থেকেই বিমান হামলা আরও বাড়িয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া সে সময় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে একটি শস্য চুক্তি প্রত্যাহার করে। ওই চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি করা সম্ভব হতো। কিন্তু রাশিয়া ঐ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোয় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে উন্নত প্রযুক্তির দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এতে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ইউক্রেনের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে বন্যা, জরুরি অবস্থা জারি
এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। দূরপাল্লার এ ক্ষেপণাস্ত্র ১৯০ মাইলের (৩০০ কিলোমিটার) মধ্যে হামলা চালাতে সক্ষম।
ইউক্রেন মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হামলা বাড়িয়েছে। এসব হামলা মোকাবিলায় মস্কোও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এটি ২ পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। গত ১৯ মাস ধরেই ইউক্রেনের ওপর বিভিন্ন সময়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।
সান নিউজ/এএ