আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগর্নো-কারাবাখের নিয়ন্ত্রন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের আমন্ত্রণে আজারবাইজাইন সফরে গেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে হামলায় ২৫ যোদ্ধা নিহত
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানায়, কারাবাখ অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে মিত্র আলিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করতে আজারবাইজানের স্বায়ত্তশাসিত নাখচিভান এক্সক্লেভে একদিনের সফরে রয়েছেন এরদোয়ান। নাখচিভান এক্সক্লেভ হচ্ছে আর্মেনিয়া, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে অবস্থিত আজারি ভূখণ্ডের একটি ক্ষুদ্র অংশ।
তুর্কি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ সফরে এরদোয়ান আজারি প্রেসিডেন্ট আলিয়েভের সঙ্গে একটি বৈঠক ও সংবাদ সম্মেলন করবেন। তাছাড়া একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন : সহিংসতা তালিকায় বাংলাদেশ ২২তম
গত সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ এ অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় আজারবাইজান। তার ২৪ ঘণ্টার মাথায় রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ফলে অঞ্চলটি এখন পুরোপুরি আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রণে। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে আতঙ্কে ওই এলাকা ছাড়ছে হাজার হাজার আর্মেনীয়।
পুরো পরিস্থিতি এখনো ঘোলাটে। কারণ আগেও আজারি বাহিনীর সঙ্গে নাগোর্নো-কারাবাখের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। তখন এভাবে সমঝোতায় না পৌঁছালেও এবার অস্ত্র ও গোলাবারুদ আজারি বাহিনীর হাতে জমা দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। বিষয়টির মধ্যস্থতা করেছে মস্কো।
আরও পড়ুন : চীনে কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১৬
এমন বাস্তবতায় করণীয় নিয়ে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি আঙ্কারা।
প্রসঙ্গত, দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। প্রথম যুদ্ধ হয় ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর। এরপর ২০২০ সালে আবার যুদ্ধে লিপ্ত হয় দেশ দুটি।
সান নিউজ/এমআর