আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া পাকিস্তানে আবারও পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: উপকূলের কাছাকাছি হারিকেন লি
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার জানিয়েছে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া পাকিস্তানে আবারও পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির অব্যাহত দাম বৃৃদ্ধির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২ সপ্তাহের মাঝে দুবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাকিস্তানে পেট্রোলের দাম লিটারে ২৬.০২ রুপি ও হাই স্পিড ডিজেলের দাম ১৭.৩৪ রুপি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সম্পত্তি বিক্রি করবে রাশিয়া
এর ফলে এখন থেকে দেশটিতে প্রত্যেক লিটার পেট্রোল ৩৩৩.৩৮ পাকিস্তানি রুপি এবং প্রত্যেক লিটার ডিজেল ৩২৯.১৮ রুপিতে বিক্রি হবে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানে প্রত্যেক লিটার পেট্রোলের দাম ১ম বারের মতো ৩০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়।
পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ সুদ হারের নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। যে কারণে দেশটিতে পেট্রোল ও বিদ্যুতের দাম ব্যাপক বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মিশন স্থগিত করল ভারত-কানাডা
গত জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানের জন্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছে। পাকিস্তান আইএমএফের এ প্যাকেজের কল্যাণে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
তবে বেলআউটের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনায় দেশটির বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ২৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
আগামী নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির জনসাধারণের মাঝে দফায় দফায় জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র হুমকির মুখে
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি গত কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার বলেছিলেন, ২য় কোনও বিকল্প না থাকায় নাগরিকদেরই বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে। সূত্র: পিটিআই, ডন।
সান নিউজ/এএ