আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৯৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পারমাণবিক সাবমেরিন উদ্বোধন কিমের
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে হওয়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যা ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে ভবন ধসে পড়ে ২৯৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে যে, ৫০০ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) দূরে আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে।
আরও পড়ুন : নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন বাইডেন
স্পেক্টেটর ইনডেক্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লাটফর্মে এক পোস্টে জানিয়েছে যে, একটি ভবন ধসে মরক্কোর ডেমনাটে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের ফলে অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। এই কারণে ধুলোর মেঘ তৈরি হয়। হতবাক বাসিন্দারা নিরাপত্তার জন্য, স্থানীয় ভবনের বাইরে এবং রাস্তায় দৌড়াচ্ছে। সারারাত মানুষ রাস্তায় রাত কাটায়।
মারাকেশের একজন বাসিন্দা ব্রাহিম হিমি রয়টার্সকে বলেন, তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে শহরের ঐতিহাসিক পুরাতন শহর ছেড়ে যেতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, মাটি কেঁপে ভবনের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : মিয়ানমারে সংঘর্ষ, ৫০ জান্তা সেনা নিহত
এসাওইরার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা বলেন, খুব বেশি ক্ষতি হয়নি তবে লোকজন আতঙ্কিত। কম্পনের সময় আমরা চিৎকার শুনেছি। খবরে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পগুলো অস্বাভাবিক তবে অপ্রত্যাশিত নয়। এই মাত্রার কোনো ভূমিকম্প ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি।
ইউএসজিএস বলেছে, ১৯০০ সাল থেকে এই ভূমিকম্পের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ মাত্রার চেয়ে বড় ভূমিকম্প দেখা যায়নি। তবে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ