আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাচনী জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা কোনও কিছু ভুল করিনি। আমি কোনও ভুল করিনি।’
আরও পড়ুন : ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষ, নিহত ৭
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্জিয়ায় নির্বাচনী জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক গ্রেফতারের পর এই ঘটনাকে ‘বিচার ব্যবস্থার জন্য উপহাস’ বলে সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলাকে তিনি ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপ’ বলেও অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন : গ্রেফতারের ২০ মিনিট পর জামিন
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে জর্জিয়ার ফুলটন কারাগারে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। অবশ্য এর ২০ মিনিটের মাথায় জামিনে মুক্ত হন ট্রাম্প। ২ লাখ মার্কিন ডলারের বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
সিএনএন জানায়, গ্রেফতারের পর অবশ্য সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে বেশিক্ষণ কারাবন্দি থাকতে হয়নি। তিনি কারাগার ছিলেন ২০ মিনিটের মতো। সেসময় তার আঙুলের ছাপ ও মুখের ছবি (মাগ শট) নেওয়া হয় এবং পরে তা প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন : বিএনপির কালো পতাকা মিছিল আজ
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ট্রাম্প বিমানবন্দরের উদ্দেশে কারাগার ত্যাগ করেন। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগও অস্বীকার করে বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে তা ন্যায়বিচারের সঙ্গে প্রতারণা। আমরা কোনও কিছু ভুল করিনি। আমি কোনও ভুল করিনি।’
সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, ‘তারা যা করছে তা হলো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ।’
আরও পড়ুন : ইউক্রেনের ৪২ ড্রোন আটকালো রাশিয়া
অবশ্য ট্রাম্প ঠিক কার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করছেন তা উল্লেখ করেননি। তবে তিনি নিয়মিতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে তার পুনরায় নির্বাচন করার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে নিন্দা করে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটির সূত্রপাত ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি। ওইদিন জর্জিয়ার প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্র্যাড র্যাফেনসপারগারকে ফোন করে অঙ্গরাজ্যটিতে নিজের পরাজয় ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে বলেন ট্রাম্প। কিন্তু ব্র্যাড তার এ অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
আরও পড়ুন : প্রিগোজিনকে নিয়ে যা বললেন পুতিন
এর চারদিন পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকরা মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে আক্রমণ করেন। ওইদিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সিনেটের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ছিল।
সান নিউজ/এমআর