আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের ৪২টি ড্রোন আটকে দেশটির হামলাচেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রাতের আঁধারে হামলা চালাতে এসেছিল এবং বেশিরভাগ ড্রোনকে ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ৫
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়াও কিছু ড্রোন সরাসরি ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার মস্কো জানিয়েছে মোট ৪২টি ড্রোন রাতের আঁধারে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে জানিয়েছে, ‘ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে ৯ টি ইউএভি (মানুষবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল) ধ্বংস করা হয়েছে ও ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার দিয়ে আরও ৩৩টি ইউএভি দমন করা হয়েছে, সেগুলো লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পেরে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গ্রেফতারের ২০ মিনিট পর জামিন
তবে রুশ এ মন্ত্রণালয় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা জানায়নি এখনো।
২০১৪ সালে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপ দখলে নেয়। রুশ গত বছর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এ অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিয়েভ বলেছে, ক্রিমিয়াকে নিজেদের দখলে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেন বলেছে, ‘বিশেষ অভিযান’ চলাকালীন রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনীয় পতাকা উড়িয়েছে তার বাহিনী।
আরও পড়ুন: প্রিগোজিনকে নিয়ে যা বললেন পুতিন
ক্রিমিয়ায় এস-৪০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম রাশিয়ার আছে। বুধবার ইউক্রেন জানায়, তারা সেই সিস্টেম ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউক্রেনীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ঐ দিন ক্রিমিয়ায় বড়সড় একটি বিস্ফোরণ হয়।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এরপরই দাবি করে, রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করা হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য তাৎক্ষণিক কোনও জবাব এখনো দেয়নি। রাশিয়ার এক সেনা ব্লগার জানিয়েছেন, এস-৩০০ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়া দাবি করছে, ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে।
মস্কো রাশিয়ার সাথে এই উপদ্বীপের সংযোগকারী রাশিয়ান নির্মিত ক্রিমিয়ান সেতুতে হামলার জন্য প্রতিবার ইউক্রেনকেই অভিযুক্ত করে আসছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জালিয়াতি, গ্রেফতার ট্রাম্প
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ পুনর্দখল করাই ইউক্রেনের লক্ষ্য।
গত বুধবার কিয়েভে এক অনুষ্ঠানে জেলেনস্কি জানান, দুঃখজনক হলেও সত্য, এখনও ইউক্রেনের বহু জায়গা রাশিয়ার দখলে। তার মধ্যে ক্রিমিয়া অন্যতম। ইউক্রেনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্রিমিয়াকে পুনর্দখল করা।
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের অন্যান্য ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করাও কিয়েভের লক্ষ্য।
সান নিউজ/এএ