আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের হিমাচল প্রদেশের ১৭ হাজারটি স্থানে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বিস্ফোরণে নিহত ৬
সংস্থাটির এক রিপোর্টে বলা হয়, ঐ ১৭ হাজারটি স্থানের মধ্যে ১৩৫৭ টি স্থান শুধুমাত্র সিমলায় রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের কারণে এসব এলাকার মাটি ক্রমাগত নরম হয়ে রাস্তা ও ঘরবাড়ি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ভূমি তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ক্ষমতা ও সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করার নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৬৫
ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করা হলেও এখনো অনেক এলাকা রয়েছে, যেখানে বড় ধরনের বিপদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিমলার কৃষ্ণ নগর এলাকায় একটি বিপজ্জনক ভূমিধস হয়েছে। সেখানে একটি ভবনের উপর একটি গাছ পড়ার পর ভবনটি ধসে পড়ে।
একইভাবে গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সামার হিল এলাকার শিব মন্দির ভূমিধসের কবলে পড়ে। সেখানে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। অনেক মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং আরও মৃতদেহের সন্ধান চলছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে দুর্গম পাহাড়ে র্যাবের অভিযান
এ ভূমিধসের পর সাধারণ মানুষের ওপর যে পাহাড় ভেঙে পড়েছেছে, তাতে কত পরিবার শ্বাস-রুদ্ধকর ধ্বংসস্তূপ পেয়েছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
গত ৪ দিন ধরে টন মাটির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মন্দিরের ভিতর থেকে প্রিয়জনকে বের করে আনার ভগ্ন আশা নিয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কিছু মানুষ।
সিমলার সার্কুলার রোডের মূল এলাকার অনেক এলাকা, ২ টি ডুবন্ত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে- দ্য রিজ, গ্র্যান্ড হোটেল, লক্কর বাজার, সেন্ট্রাল স্কুল, অকল্যান্ড নার্সারি স্কুল, ধোবিঘাট, কৃষ্ণ নগর, কমলি ব্যাংক এবং হোটেল ক্লার্কসের আশেপাশের এলাকা, যেখানে নতুন কোনো ভবন আসছে না।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল, মোমেনের সমবেদনা
সেখানে কিছু তৈরি করা মানেই ধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানানো। এসব স্থানকে বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, ২৫০০০ জনসংখ্যার জন্য নির্মিত সিমলা শহরটিতে বর্তমানে আনুমানিক ২.৩ লাখ লোক বাস করেন। সেখানে ৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঢালে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হলেও নানা ধরনের নির্মাণ করে নিজের মৃত্যু ডেকে আনছে মানুষ।
সান নিউজ/এনজে