আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে একটি জেডখনিতে ভূমিধসে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো আরও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন : লিবিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ২৭
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
দেশটি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার সম্মুখীন হয়েছে এবং এরই একপর্যায়ে গত রোববার উত্তর কাচিনের হাপাকান্ট শহরের বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিধসের এই ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন : সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরছেন নওয়াজ
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে জেড মাইনিং বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত এই শিল্পটি বেশ ঘন ঘন শ্রমিকের মৃত্যুতে জর্জরিত। ২০২০ সালের ভূমিধসের পর একই এলাকায় ১৭০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার একজন উদ্ধারকর্মী বলেন, আমরা আজ মোট ২৫টি মৃতদেহ পেয়েছি। তবে এখনও ১৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং নিখোঁজ এসব মানুষকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা বুধবারও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন : আরও ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৯৮৪
উদ্ধারকারীরা জানায়, খনির খননের ফলে প্রায় ১৫০-১৮০ মিটার (৫০০-৬০০ ফুট) উঁচু মাটির একটি বিশাল স্তূপ প্রচণ্ড বৃষ্টির পর আলগা হয়ে যায় এবং ধসে পড়ে। অবশ্য বর্ষাকালে খনির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। তবে ভূমিধসে আটকা পড়া ব্যক্তিরা স্থানীয় বাসিন্দা এবং কাদা থেকে মূল্যবান কিছু পাওয়ার আশায় তারা সেখানে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চালীয় প্রদেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদে খুবই সমৃদ্ধ। স্বর্ণ ও মূল্যবান পাথরের বেশ কয়েকটি খনি ও দামি কাঠ রয়েছে এখানকার অরণ্যগুলোতে। কিন্তু এই সম্পদের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ কার্যত প্রায় নেই। খনিজ ও বনজ সম্পদ আহরণে প্রায় কোনও সরকারি নির্দেশনা মানা হয় না।
আরও পড়ুন : দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা
ক্ষমতাসীন জান্তা এবং জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আয়ের বড় একটি উৎস কাচিন ও অন্যান্য উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর খনিজ ও বনজ সম্পদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ। খনি ও অরণ্যের দখল নিয়ে সরকারি ও জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘাত হয়ে থাকে।
সান নিউজ/এমআর