আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পূর্ব আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের জুঙ্গেরু-তেগিনা মহাসড়কে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এসময় তারা গুলি করে একটি সামরিক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারও বিধ্বস্ত করেছে।
আরও পড়ুন: হিমাচলে ভূমিধসে নিহত ৫০
বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেশটির সেনাবাহিনীর দুটি সূত্র পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছে, রোববার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের উদ্ধারে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে একটি হেলিকপ্টার। যেটি গুলির আঘাতে পরবর্তীতে বিধ্বস্ত হয়।
তবে ওই হেলিকপ্টারে থাকা আহত সেনা ও ক্রুরা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা তিনি জানাননি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় অগ্নিকাণ্ড, শিশুসহ নিহত ২৫
এএফপিকে সেনা সূত্রটি হামলার বিষয়ে জানিয়েছে, জুঙ্গেরু-তেগিনা মহাসড়কে ব্যাপক লড়াইয়ে আমরা ২৩ জন সৈন্যকে হারিয়েছি। এরমধ্যে তিনজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এছাড়া হামলায় তিনজন বেসামরিক মানুষও মারা গেছেন এবং আরও ৮ জন আহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সূত্রটিও হতাহতের ব্যাপারে একটি তথ্য জানিয়েছে। তবে তিনি সাথে আরও জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ায় বিমান হামলা, নিহত ২৬
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিমানবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ওই হেলিকপ্টারটিতে ১১টি মরদেহ এবং ৭ জন আহত সেনা ছিলেন। হেলিকপ্টারটি সন্ত্রাসীরা গুলি করে ভূপাতিত করে।
সোমবার সকালে তাদের একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয় জানিয়ে নাইজেরিয়ার বিমানবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, বিধ্বস্তের পরপরই সেখানে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রসঙ্গত, নাইজেরিয়া এমন একটি দেশ— যেখানে প্রতি সপ্তাহে গোলাগুলি, অপহরণসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে। আর এসব অপকর্ম করে থাকে উগ্র সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। যারা স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত।
এসব ডাকাত দুর্গম গ্রাম ও এলাকাগুলোতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি, অপহরণ ও হত্যা করে অর্থ আদায় করে।
নাইজেরিয়ার নাইজার, কাদুনা, জাম্ফারা এবং কাটসিনা প্রদেশ এসব ডাকাতের কারণে দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। সূত্র: এএফপি
সান নিউজ/এইচএন