আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল সেতুতে ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ক্রিমিয়ার ওই সেতুতে হামলার জন্য দু’টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল ইউক্রেন। তবে সেতুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবি, নিহত ৬
শনিবার (১২ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে কের্চ ব্রিজের কাছে ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুতে হামলার জন্য এস-২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল এবং আঘাত হানার আগেই সেগুলো গুলি করে নামানো হয়। এই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
অবশ্য অভিযুক্ত এই হামলার বিষয়ে ইউক্রেন এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তবে গত কয়েক মাসে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল এই সেতুটিকে লক্ষ্য করে অন্তত আরও দু’টি হামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দাবানলে জ্বলছে মাউই, নিহত বেড়ে ৮০
একে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের হামলা চেষ্টা নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের জীবন হুমকিতে পড়েছে। অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই বর্বর ঘটনার কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।’
এদিকে ক্রিমিয়ার রাশিয়া-নিযুক্ত গভর্নর সের্গেই আকসিওনভ জানিয়েছেন, হামলা চালাতে আসা তৃতীয় একটি রকেটকে কের্চ প্রণালীতে গুলি করে নামানো হয়েছে। এর আগে শনিবার রাশিয়া বলেছিল, তারা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে ২০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় মসজিদ ধসে নিহত ৭
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। পরে এই দ্বীপের সাথে রাশিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই দীর্ঘ সেতু দিয়ে রাশিয়া থেকে ক্রিমিয়ায় সহজেই যাতায়াত করা যায়।
ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর ক্রিমিয়াকে যেকোনও মূল্যে কিয়েভের অংশ করে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি।
সান নিউজ/জেএইচ