আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেতা অং সান সু চি পাঁচ মামলায় সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। এছাড়া আরও সাত হাজারের বেশি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সামরিক সরকার।
আরও পড়ুন : মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিতে উদগ্রীব
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি অপরাধের জন্য তাকে ক্ষমা করা হবে। এই পাঁচ অপরাধের জন্য সু চিকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। শুধু সু চি নয়, একইসঙ্গে আরও ৭ হাজারেরও বেশি বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : গার্ডার লঞ্চিং মেশিন পড়ে নিহত ১৬
সূত্র জানায়, সু চির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় সাজা ক্ষমা করা হলেও আরও ১৪টি মামলা থাকায় তাকে এখনই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, সু চির পাশাপাশি মিয়ানমারের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টও দুই বছরেরও বেশি সময় পর ছাড়া পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র খুনিকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সে সময় সু চিসহ বেসামরিক সরকারের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টি অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিচার শুরু করে জান্তা সরকার।
তবে সামরিক আদালতে মামলার শুনানির সময় গণমাধ্যমকর্মী বা অন্য পর্যবেক্ষকদের কেউ উপস্থিত থাকতে পারেননি। ফলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো সু চির বিরুদ্ধে গোপন বিচারকে প্রতারণা বলে নিন্দা জানায়।
আরও পড়ুন : সমস্যা সমাধানে সংলাপ প্রয়োজন
এর পরও দফায় দফায় রায় ঘোষণায় মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত এ নেতাকে।
সান নিউজ/এমআর