ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২টি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যার ঘটনায় আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হয়েছে।
শুধু হত্যা নয়, মসজিদ জ্বালিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। আদালতে এমন দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর ক্রাইস্টচার্চের উচ্চ আদালতে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে চার দিনের রায় পড়া শুরু হয়। এ ঘটনায় ব্রেন্টর ট্যারেন্টের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আদালতে বলা হয়েছে, হামলার দিন আরও মানুষকে হত্যা করার ইচ্ছা ছিল ট্যারেন্টের। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছাও ছিল তার। এছাড়া ক্রাইস্টচার্চে হামলার আগে আরও একটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা করেছিল এই সন্ত্রাসী। রায় ঘোষণার আগে ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আদালতে আনা হয়।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষের ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশের অনেক ভবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালায় অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এতে ৫১ জন মুসল্লি নিহত হন। নৃশংস ওই বন্দুক হামলায় অন্তত তিনজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছিলেন। যেই আল নূরে বেশি হতাহত হয়েছিল, সেখানে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
হামলার ঘটনার এক বছরেরও বেশি সময় পর গত মার্চে সব অপরাধ স্বীকার করে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। ৫১ জনকে হত্যার পাশাপাশি আরও ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ ছিল ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে, যার সবই স্বীকার করে সে।
ক্রাইস্টচার্চের ওই ঘটনায় বিশ্ববাসী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এরপর ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র রাখার আইন কঠোর করেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডান।
সান নিউজ/ আরএইচ