ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের একজন বাসিন্দার বাসার ড্রয়ারে প্রায় ৫০ বছর ধরে পড়ে ছিল ভারতের স্বাধীনতার নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর এক জোড়া চশমা। সেই চশমা জোড়া নিলামে আড়াই কোটি টাকার (২ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড) বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) ছয় মিনিটের টেলিফোন নিলামে আমেরিকান একজন সংগ্রাহক চশমা জোড়া কিনে নেন। নিলামকারী অ্যান্ড্রু স্টো বলছেন, ইস্ট ব্রিস্টল অকশন হাউজের জন্য এটা একটা রেকর্ড।
ধারণা করা হয়েছিল, এ চশমা জোড়া সর্বোচ্চ ১৫,০০০ পাউন্ডে (১৫ লাখ টাকারও বেশি) বিক্রি হতে পারে। কিন্তু সেটি দাম যে এতো বেশি হবে, তা ভাবেননি বিক্রেতা।
অ্যান্ড্রু স্টো বলছেন, গান্ধীর চশমা জোড়ার মালিক ব্রিটেনের ম্যাঙ্গোসফিল্ড এলাকার একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তার বাসার একটি ড্রয়ারে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চশমা জোড়া পড়ে ছিল। লকডাউনের সময় তিনি বাসা পরিষ্কার করতে গিয়ে চশমা জোড়া খুঁজে পান।
তাদের একজন আত্মীয় ১৯২০ এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর থেকে কয়েক প্রজন্ম ধরে চশমা জোড়া এই পরিবারে রয়েছে। নিজের জিনিসপত্র বিলিয়ে দেয়ার খ্যাতি রয়েছে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর।
চশমা জোড়া খুঁজে পাওয়ার পর মালিক নিলাম করার জন্য অ্যান্ড্রু স্টো নিলাম প্রতিষ্ঠানকে দেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, চশমা জোড়া এমন কেউ কিনুক, যিনি এর ঐতিহাসিক মূল্য বুঝবেন। কিন্তু তিনি কল্পনাও করেননি যে, এর দাম এতো উঠতে পারে।
স্টো বলছেন, এটা ব্যতিক্রমী একটা ফলাফল। এ চশমা জোড়া শুধু আমাদের জন্য বিক্রির রেকর্ড তৈরি করেনি, এটার আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক গুরুত্বও তুলে ধরেছে।
সাদা একটি এনভেলপের ভেতর ঢোকানে চশমা জোড়া ইস্ট ব্রিস্টল নিলাম হাউজের চিঠিপত্রের বাক্সে শুক্রবার রাত থেকে পড়ে ছিল।
তিনি বলেন, এর দাম সম্পর্কে মালিকের কোনো ধারণা ছিল না। যখন তাকে বলা হয় যে, এটার মূল্য হয়তো ১৫ হাজার পাউন্ড হতে পারে, তখন তার প্রায় একটা হার্ট অ্যাটাক হতে যাচ্ছিল।
পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে এ চশমা জোড়া ড্রয়ারে পড়ে ছিল। এর মালিক আমাকে বলেছিলেন, এটা যদি বিক্রি করা না যায়, তাহলে যেন ফেলে দেয়া হয়। আর এখন তিনি জীবন বদলানোর মতো টাকা পাচ্ছেন।
নিলাম থেকে পাওয়া টাকা মেয়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেবেন বলে জানিয়েছেন চশমা জোড়ার বিক্রেতা। সূত্র: বিবিসি