ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ১০ লাখ একর জমি দাবানলে পুড়ছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ জন লোক দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে। হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের ১৪ হাজারের বেশি কর্মী।
ক্যালিফোর্নিয়ার এ দাবানলকে 'বড় ধরনের দুর্যোগ' ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেন্দ্রীয় সহায়তা বিলও অনুমোদন করেছেন।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়ো বাতাসের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল আরও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে, ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার সহযোগিতা চেয়েছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। দাবানল পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘এই আগুন আমাদের সম্পদ ও কর্মকর্তাদের শেষ করে দিচ্ছে।’
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বরেকর্ড গড়া তাপদাহের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি বজ্রপাত থেকে এ দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকশ’ অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণ ও পূর্বের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। দাবানলের ৫৬০টি অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বড় আগুনের ঘটনা।
ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল মোকাবিলায় ওরেগন, নিউ মেক্সিকো, টেক্সাসের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে থেকে দমকলকর্মী, পর্যবেক্ষণ প্লেন, গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। এরপরও অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘বিশ্বসেরা দাবানল মোকাবিলা বাহিনী’ পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন গভর্নর নিউসম।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ক্যালিফোর্নিয়ায়। অঙ্গরাজ্যটিতে অন্তত সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যক্তি বা পরিবারকে আলাদা তাবুতে আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। অসুস্থদের জন্য আলাদা আশ্রয় কেন্দ্রেরও ব্যবস্থা হয়েছে কিছু কাউন্টিতে।