ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বহু বছর ধরে অস্বীকার করে আসার পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সরকার স্বীকার করেছে নিয়েছে দেশটির করাচি শহরে বসবাস করেছে ১৯৯৩ সালে ভারতের মুম্বাই হামলার প্রধান অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম। সন্ত্রাসবাদে সহায়তার অভিযোগে ৮৮টি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের আরোপিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের নাম। শনিবার পাকিস্তান সরকার এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্যারিসভিত্তিক ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) ২০১৮ সালের জুন মাসে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে সন্ত্রাসবাদে সহায়তাকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসলামাবাদকে সময় বেঁধে দেয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওই সময় সীমা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
ওই সময়সীমা অনুযায়ী গত ১৮ আগস্ট পাকিস্তান সরকার দুটি নোটিশের মাধ্যমে জামাত উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সাইদ, জইশ-ই মোহাম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার ও আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েক জনের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করবে পাকিস্তান।
১৯৯৩-এর মুম্বাই বিস্ফোরণে দাউদ ইব্রাহিমকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে মনে করে ভারত। ২০০৩ সালে তাকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। মুম্বাইয়ের ডাংরিতে জন্ম নেওয়া দাউদ দীর্ঘদিন থেকে করাচিতে বসবাস করছেন বলে দাবি করে আসছে ভারত। তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে আসছিল।
তবে পাকিস্তান সরকারের প্রকাশিত আর্থিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় দাউদ ইব্রাহিমের ঠিকানা দেখানো হয়েছে করাচির ক্লিফটন অঞ্চলে সৌদি মসজিদের কাছে অবস্থিত হোয়াইট হাউস নামের একটি বাড়ি।