আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা ৩ দিনের প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে ৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ অবস্থায় আছেন আরও ৩ জন।
আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে কাপঁল আফগানিস্তান
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে শনিবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদেন আরো বলা হয়েছে, অতিবর্ষণ-বন্যা-ভূমিধসে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং অবকাঠামোগতভাবে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, অতিবৃষ্টির কারণে শুক্রবার দিবাগত রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় প্রদেশ উত্তর চুংচেওংয়ের বড় একটি বাঁধের পানি উপচে পড়ে বন্যা শুরু হয় রাজধানী সিউলসহ আশপাশের শহরগুলোতে। এছাড়া গোয়েসানসহ দেশের আরও কয়েকটি বাঁধ, নদী-জলাশয় উপচে পড়ার কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে দেশটির বেশিরভাগ এলাকায়।
আরও পড়ুন : ম্যাক্রোঁকে সেতার দিলেন মোদি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গোয়েসানের কেন্দ্রীয় কাউন্টির ছয় হাজার ৪০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে শনিবার ভোরে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুষলধারে বৃষ্টিতে গোয়েসান বাঁধটি উপচে পড়ায় এবং কাছাকাছি নিচু গ্রামগুলো নিমজ্জিত হওয়ায় লোকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার (১৪ জুলাই) থেকে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন। তারা বৃষ্টিজনিত ভূমিধস ও ভবন ধসে মারা গেছেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুজন উত্তর গেয়ংসাং প্রদেশে একটি নদী উপচেপড়ায় ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন : ছয় মাসে প্রায় ৩০০ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে শনিবার ভোর থেকে উপদ্রুত এলাকাগুলোতে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। তবে বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখনও লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন।
বন্যার কারণে আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজে আরও গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু সেনাবাহিনীকে সহায়াতার আহ্বান জানিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।
সান নিউজ/জেএইচ