আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপে যাওয়ার পথে অন্তত ২৮৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯ অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) সংস্থাটি জানায়, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় এবারের সংখ্যা দ্বিগুণ। দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে এসব শিশু প্রাণ হারায়।
অভিবাসন ও স্থানচ্যুতি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেওয়া ভেরেনা নাউস বলেছেন, মধ্য ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির কারণে সত্যিকারের পরিসংখ্যান বেশি হতে পারে। কারণ সেখানে ডুবে যাওয়া অনেক নৌকার কেউ বেঁচে নেই বা রেকর্ড করা হয়নি।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোতে ভূমিকম্পের আঘাত
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ২০২২ সালে ওই অঞ্চলের সাগর ও স্থল রুটে তিন হাজার ৭৮৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর বিষয়টি নথিভুক্ত করেছে। তাদের এই রুটের মধ্যে ভূমধ্যসাগর ও সাহারা মরুভূমি রয়েছে।
উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা কোনোভাবেই থামছে না। বিশেষ করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রাণ হারাচ্ছে শত শত শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী।
আরও পড়ুন: সাগরে নিখোঁজ ৫ জেলে উদ্ধার
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকায় ঝুঁকিপূর্ণ রুটগুলোতে প্রায় তিন হাজার ৮০০ জন প্রাণ হারিয়েছে, যা ২০১৭ সালের পর এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
তাছাড়া ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ১১ হাজারের বেশি শিশু ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ।
সান নিউজ/এনকে