নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আগমনের মাত্রা বেড়ে যায়। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ নিবন্ধন অনুযায়ী, কক্সবাজারে ওই সময়ের পর প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে,বর্তমানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিবন্ধিত প্রতি ১০ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৯ জনই বাস করেন বাংলাদেশে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) ইউএনএইচসিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের পরিপূর্ণ সমাধান আছে মিয়ানমারে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ‘অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেটের’ সব সুপারিশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এটি সম্ভব।
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজন সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে নতুন করে কার্যকরী আলোচনার সূত্রপাত এবং এর পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির পদক্ষেপ বলেও জানায় ইউএনএইচসিআর।
এসবের জন্য প্রয়োজন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার ওপরে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার, অভ্যন্তরীণ ভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ গ্রামে ফেরার সুব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ।
ইউএনএইচসিআর জানায়, বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের মানসিক শক্তি ও প্রত্যয় গত তিন বছর ধরে কাজ করছে মানবিক কর্মকাণ্ডের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে। এই মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণের প্রতিও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহযোগিতার হাত। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহস ও মনোবলকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাবো, যেন পৃথিবী তাদের ভুলে না যায়।
সান নিউজ/ এমএইচ/ এআর/ কেবিএ