আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিমান উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনে করছে। একইসঙ্গে এই ধরনের ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকিও দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: ভারতে ভারী বৃষ্টিতে নিহত বেড়ে ২৮
আমেরিকা এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের ইস্যুতে উত্তরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সোমবার (১০ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নজরদারি ফ্লাইট উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে বলে সোমবার অভিযোগ তুলেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: কিন্ডারগার্টেনে ছুরি হামলায় নিহত ৬
পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি একইসঙ্গে সতর্ক করে বলেছে, পিয়ংইয়ং সংযম অনুশীলন করলেও আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় এই জাতীয় ফ্লাইটগুলো গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুখপাত্র বলেছেন, আমেরিকার উস্কানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ কোরিয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক সংঘাতের নিকটে নিয়ে আসছে।
এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ)।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় আহত ৯
সংবাদ সংস্থাটি বলছে, প্রতিবেদনে মার্কিন নজরদারি প্লেন ও ড্রোন ব্যবহারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, কোরিয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়ে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছে ওয়াশিংটন।
কোরিয়ার পূর্ব জলসীমায় মার্কিন বিমান বাহিনীর কৌশলগত নজরদারি প্লেন ভূপাতিত করার মতো মর্মান্তিক কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র।
বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার সাথে এবং উপকূলের সীমান্তে মার্কিন বিমানকে গুলি করে নামানো বা বাধা দেওয়ার অতীতের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া প্রায়ই উপদ্বীপের কাছে মার্কিন নজরদারি ফ্লাইট সম্পর্কে অভিযোগ করে এসেছে।
আরও পড়ুন: স্পেনে যাওয়ার পথে নিখোঁজ ৩০০
রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, মার্কিন বিমান নজরদারি সরঞ্জামগুলো কোরিয় উপদ্বীপের চারপাশে নিয়মিত নজরদারি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মার্কিন মিত্র দেশগুলো উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ড নিরীক্ষণের জন্য একসাথে কাজ করছে ।
সান নিউজ/এইচএন