ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বেলা সোয়া দুইটার ঘটনা। হাতে তখনও স্যালাইনের চ্যানেল করা, পায়ে জুতা নেই। প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া। কলকাতা মেডিকেল কলেজের গ্রিন বিল্ডিংয়ের করোনা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়লেন এক বৃদ্ধ। ঠিক করে ফেলেছেন, এভাবে আর নয়। রাস্তায় বেরিয়ে চা খাব। তারপর সোজা বাড়ি। কিন্তু ব্যাপারটা অতটা সহজ হল না। নিমতায় বাড়ি ওই বৃদ্ধের পথ আটকালেন অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতাল ভবনের ৬ তলা থেকে বেরিয়ে ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ ডাক্তার-নার্সদের ওঠানামা করার সিঁড়ি দিয়ে সোজা নিচে চলে আসেন। মুখে মাস্ক, পায়ে প্লাস্টিক জড়িয়ে অসুস্থ বৃদ্ধ হাঁটছিলেন কিছুটা অস্বাভাবিকভাবে। দেখেশুনে তার পথ আটকান কয়েকজন রোগীর আত্মীয়রা। তারা জানতে চান, এই চ্যানেল হাতে নিয়ে কোথায় যাবেন?
রোগীর আত্মীয়দের প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত না হয়ে বৃদ্ধ বলতে শুরু করেন, আমি করোনা আক্রান্ত। নিমতায় বাড়ি। এখানে ভর্তি ছিলাম ৬ তলায়। এখানে থাকলে আমি মরে যাব। ঠিকমতো খেতে পারি না। নেমে পালিয়ে এসেছি। আমাকে মেরে ফেলবে এরা। এইতে চায়ের দোকান। চা খাব। তারপর বাড়ি চলে যাব।
বৃদ্ধের কথা শুনে অবাক হয়ে যান রোগীর আত্মীয়রা। তারাই খবর দেন পুলিশে। খবর যায় সুপারের অফিসে। গ্রিন বিল্ডিয়ের নীচে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। তারপর বৃদ্ধকে অনেক বুঝিয়ে হাসপাতালে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্র: জি নিউজ