আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সুদানে বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। সেই সাথে আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৬
ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার (৮ জুলাই) রাজধানী খার্তুমের পার্শ্ববর্তী শহর ওমদুরমানের একটি আবাসিক এলাকায় ঐ অভিযান চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ঐ হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন : এনআইডি সার্ভার থেকে তথ্য ফাঁস হয়নি
এটি ছিল সামরিক বাহিনী এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষের একটি। গত জুন মাসেও এক বিমান হামলার ঘটনায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ছিল ৫ শিশুও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রাজধানী খার্তুম ও এর পার্শ্ববর্তী ৩ শহরের মধ্যে অন্যতম ওমদুরমানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আধা-সামরিক বাহিনী আরএসএফের হাতে। পার্শ্ববর্তী আরেক শহর বাহরির নিয়ন্ত্রণও তাদের কাছেই।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অসন্তুষ্টি নেই
অন্যদিকে এ শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালাচ্ছে।
সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর এ লড়াই ১২ সপ্তাহ ধরে চলছে। এ পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি।
আরও পড়ুন : ব্রাজিলে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ১৪
গত ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র সংঘাতের পর আরএসএফ রাজধানীসহ আশপাশের শহরে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে থাকে।
প্রায় প্রতিদিনই আরএসএফের কাছ থেকে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ)।
আরও পড়ুন : ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ প্রাপ্য
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এসব হামলার তীব্র নিন্দা ও সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ।
রোববার (৯ জুলাই) সকালে তার মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
আরও পড়ুন : আ’লীগ সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরেই ওমদুরমান শহরটি সংঘাতের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শহরের পূর্বাঞ্চলে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি প্রচার মাধ্যমের অফিসে রাতভর হামলা চালানো হয়।
এক ফেসবুক পোস্টে ২০ বিদ্রোহী সেনাকে হত্যার কথা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। সেই সাথে আরএসএফের অস্ত্র ধ্বংস করে দেওয়ার দাবিও করা হয়।
আরও পড়ুন : ১২ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পশ্চিম দারফুরে জাতিগত সহিংসতার পাশাপাশি ২ বাহিনীর সংঘর্ষ খার্তুম, করদোফান ও দারফুরে ছড়িয়ে পড়ায় এ পর্যন্ত অন্তত ১১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৩ মাসের এ লড়াইয়ে এরই মধ্যে আনুমানিক ২৯ লাখ লোককে বাড়িঘর ছাড়া হতে হয়েছে। বিদেশিরাও দেশটি ছেড়ে চলে গেছে। এছাড়া দেশটির ৭ লাখের মতো নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সান নিউজ/এনজে