ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
পাকিস্তানকে চীনের ভালো রকমের ভাই ও সহযোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার (২১ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পাঠানো এক বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। বেইজিংয়ের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপেক) রাজনৈতিক পক্ষগুলোর দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিনে ওই বার্তা পাঠান তিনি। এর আগে চীনা প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও বিতর্কিত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে বেইজিংয়ের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। দীর্ঘ এই সড়কের মাধ্যমে প্রাচীন সিল্ক রোড পুনরায় সচল করার লক্ষ্য নিয়েছে বেইজিং। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চীনের অন্যতম সহযোগী পাকিস্তান। এর অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। এই করিডোরের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছে চীন।
শুক্রবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে পাঠানো বার্তায় দুই দেশের অর্থনৈতিক করিডোরকে যুগান্তকারী প্রকল্প আখ্যা দেন চীনের প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিং বলেন, ‘চীন-পাকিস্তানের সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের প্রসার এবং দুই দেশের জনগোষ্ঠীর যৌথ ভবিষ্যতকে এক সূত্রে বাঁধায় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্ব অপরিসীম।’
দুই দেশের অর্থনৈতিক করিডোরের অধীনে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর জয়েন্ট কনসালটেশন ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন ও পাকিস্তান ভালো ভাই ও সহযোগী। উভয় দেশ বিশেষ বন্ধুত্ব বিনিময় করে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চীনা প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘উভয় দেশের রাজনৈতিক পক্ষগুলো প্রায়ই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে থাকে আর ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক সম্মতিও প্রতিষ্ঠা করছে।’ এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের অর্থনৈতিক করিডোর এবং উচ্চ মানসম্পন্ন বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা নির্মাণ নির্বিঘ্নে এগিয়ে যেতে পারছে বলেও জানান তিনি।
শি জিনপিং বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বৈশ্বিক লড়াইয়ে সার্বিকভাবে প্রতিফলিতে হয়েছে যে, পারস্পারিক সমর্থন, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মানবজাতি নিশ্চিতভাবে এই নতুন ভাইরাসকে পরাজিত করতে পারবে।’ তিনি বলেন দুই দেশের জনগোষ্ঠীর যৌথ ভবিষ্যত নির্মাণে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। একই সঙ্গে আঞ্চলিক সংহতি ও সহযোগিতা এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নের রক্ষাকবচ হিসেবেও পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।