আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে টানা ৫ দিন দেশজুড়ে ব্যাপক দাঙ্গার পর শান্ত হয়েছে ফ্রান্স। দেশটির মেয়ররা জনগণকে দাঙ্গাবিরোধী মিছিলের আহ্বান জানানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। একই দিন পুলিশের গুলিতে নিহত নাহেলের দাদিও দাঙ্গা বন্ধের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ৫ ফিলিস্তিনি নিহত
সোমবার (৩ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, রোববার রাতেও ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগের দিন শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৭০০ জনকে।
এছাড়া রোববার প্যারিসের একটি সড়কে একসারি গাড়ির আগুন নেভাতে গিয়ে এক ফায়ারসার্ভিস কর্মী পুড়ে মারা যান। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই যৌথ বিবৃতিতের প্রদান করেন মেয়ররা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ২
বিবৃতিতে মেয়ররা বলেন, ‘ফ্রান্সজুড়ে বসবাসকারী শান্তিকামী জনগণ নিশ্চয়ই দেখছে- গত ৫ দিন ধরে কী ভয়াবহ সহিংসতা হচ্ছে দেশজুড়ে। দাঙ্গাকারীরা চুড়ান্ত সহিংসতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে প্রজাতন্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক নির্মমভাবে ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠেছে। আমরা স্বীকার করছি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এখনও সমাজ থেকে বৈষম্য নির্মূল করতে পারিনি। কিন্তু এটাও সত্য— দাঙ্গাকারীদের হাতে আমরা দেশকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ১৭ বছর বয়সী তরুণ নাহেল এম.। পুলিশের গুলিতে নাহেল নিহত হওয়ার পর সেদিন থেকেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেই বিক্ষোভ রূপ নেয় দাঙ্গায়।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে হামলায় ফিলিস্তিনি নিহত
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ দিনে অন্তত ১০টি শপিং মল, ২০০ সুপারমার্কেট, ২৫০টি তামাকজাত পণ্যের দোকান, ২৫০টি ব্যাংক এবং শত শত সরকারি ভবনে হামলা-ভাঙচুর ও লুটাপাট চালিয়েছে দাঙ্গাকারীরা। সূত্র : বিবিসি
সান নিউজ/আর