আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে উদ্দেশ্যে দেশটির প্রধান বিরোধীদলগুলো জোটবদ্ধ হতে চাচ্ছে। নিজেদের বিরোধিতা ভুলে গিয়ে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দিতেও শোনা গেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির মুখে রাশিয়ার ভবিষ্যৎ
শুক্রবার (২৩ জুন) ভারতের ১৫টি বিরোধীদলের নেতারা সে লক্ষ্যে বিহারের রাজধানী পাটনায় বৈঠকে বসেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও তার ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র ফিরাহাদ হাকিম ছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪-এর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে তাহলে ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বৈঠকে এমনটিই দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ওয়াগনারে যোগ দিচ্ছে রুশ সেনারা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু প্রসাদ যাদব, শারদ পাওয়ার, নিতিশ কুমার রাহুল গান্ধী-সহ দেশটির প্রধান বিরোধীদলের নেতাদের সামনে বসে অভিযোগের সুরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজভবন থেকে সমান্তরাল সরকার চালানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা দিবস আমাদেরকে না জানিয়েই রাজভবনেই উদযাপন করা হলো।
তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বিরোধিতা করে বলেন, বিজেপি দেশজুড়ে যে অত্যাচার চালাচ্ছে তাতে ইতি টানতে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের বিরোধী বলে ডাকবেন না, আমরা দেশের নাগরিক। মনিপুর জ্বলছে আমাদেরও খারাপ লাগে।
বিজেপি অত্যাচারী, একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে শেষ করতে হবে জানিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কেউ বিরোধী কথা বললেই ইডি, সিবিআই, লাগিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেনা সদর ওয়াগনারের নিয়ন্ত্রণে
তিনি বলেন, নারীদের ওপর অত্যাচার হলে সেই বিষয়ে চিন্তা করে না, কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা করে না। রক্ত বইলে বইবে, কিন্তু আমরা দেশকে রক্ষা করব। এবারের নির্বাচনে বিজেপি জিতলে ভবিষ্যতে দেশে আর নির্বাচন হবে না।
বিরোধীদের মধ্যে ছোটখাট মতপার্থক্য থাকলে সেটা আমরা সবাই মিলে নমনীয় হয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটে লড়বো বলে জানান ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন: সাগরে নৌকাডুবি, নিখোঁজ ৩৭
বৈঠক শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিরোধীদের পরবর্তী বৈঠক ১২ জুলাই সিমলায় অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বৈঠককে কটাক্ষ করে বলেন, পাটনায় ফটোসেশন চলছে।
সান নিউজ/এইচএন