আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতালি ও তিউনিসিয়ার মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৩৭ অভিবাসন প্রত্যাশী নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় কপাল জোরে জীবিত উদ্ধার হয়েছেন কয়েকজন।
আরও পড়ুন : পানিতে ডুবে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
শুক্রবার (২৩ জুন) বেঁচে যাওয়া ৪ আরোহীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আরোহীরা সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গভীর রাতে তারা ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে পৌঁছান।
এর আগে নৌকাডুবির স্থান থেকে একটি জাহাজ তাদের উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াগনারের বিদ্রোহ
জীবিত আরোহীরা জানান, তারা মোট ৪৬ জন তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স বন্দর থেকে ইতালির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছিলেন। কিন্তু প্রবল বাতাসের কারণে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়।
এই ৪ অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাথে থাকা আরও ৪-৫ জনকে আরেকটি জাহাজ তুলে নিয়েছিল। বাকি ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ১ টি শিশুও ছিল।
আরও পড়ুন : পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনও এ দুর্ঘটনার বিষয়ে একই তথ্য দিয়েছে। তবে তারা নিখোঁজদের সংখ্যা ৪০ বলে উল্লেখ করে।
প্রসঙ্গত, সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে যাওয়া অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে তিউনিস কর্তৃপক্ষের কঠোর অভিযান, অর্থনৈতিক মন্দা ও বর্ণবাদী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপমুখী অভিবাসন বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় আসছেন শান্তিরক্ষা প্রধান
বৃহস্পতিবার একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেন, তিউনিসিয়ার কাছে ৩ টি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ১২ জন আফ্রিকান অভিবাসন প্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন এবং ৩ জন মারা গেছেন। এছাড়া দেশটির উপকূলরক্ষীরা ১৫২ অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছেন।
তবে জীবিত ৪ ব্যক্তি আইওএম’র কাছে তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন, তারা ঐ ৩ টি নৌকার একটিতে ছিলেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র : রয়টার্স
সান নিউজ/এনজে