আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশের ব্যাং ক্লাম জেলা থেকে ১৯ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারা সবাই অবৈধ অভিবাসী।
আরও পড়ুন : কুয়েতে ১২৪ প্রবাসী আটক
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৩ জুন) থাইল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় সোংখলা প্রদেশের ব্যাং ক্লাম জেলায় ৫ টি গাড়ি আটকানোর পর ৪ থাই নাগরিক এবং ১৯ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন : পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৫২
থাইল্যান্ডের সামুত প্রাকান প্রদেশ থেকে সোংখলা প্রদেশ হয়ে একদল অবৈধ অভিবাসীকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার তথ্য পায় পুলিশ। এ তথ্যের ভিত্তিতেই ব্যাং ক্লাম জেলায় পুলিশ ৫ টি গাড়ি আটকায় এবং ১৯ বাংলাদেশিসহ ২৩ জনকে আটক করে।
ব্যাংকক পোস্ট বলছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ৫ টি গাড়িকে ধাওয়া করে এবং রাত্তাফুম ও ব্যাং ক্লাম জেলার মধ্যবর্তী এশিয়ান হাইওয়ের একটি স্থানে তাদের থামাতে সক্ষম হয়।
আটককৃত থাই নাগরিকদের ৪ জনই গাড়ি চালক। তাদের মধ্যে একজন নারী ও ৩ জন পুরুষ। গাড়িচালক পঞ্চম ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঐ ৫ টি গাড়িতে বাংলাদেশ থেকে আসা ১৯ জন অভিবাসীকে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : টাইটানের ৫ টুকরো শনাক্ত
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ঐ ৪ থাই চালক জানিয়েছে, থাই মুদ্রায় মাথাপিছু ২৫০০ বাথে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সামুত প্রাকান থেকে সোংখলা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য সোমচাই নামক এক ব্যক্তি তাদেরকে ভাড়া করেছিল।
অন্যদিকে আটককৃত বাংলাদেশিরা বলেন, তারা প্রথমে বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে কম্বোডিয়ায় পৌঁছান। সেখান থেকে বুধবার (২১ জুন) সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেন। পরে তাদেরকে সামুত প্রাকানে নিয়ে যাওয়া হয়।
তারা বলেন, মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দালালরা তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন : কুমিল্লায় চোর চক্রের ৭ নারী আটক
ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, আটককৃত থাই গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশকারী বিদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে অবৈধ প্রবেশকারীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ব্যাং ক্লাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে