আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপ মহাদেশের গ্রিস উপকূলে জাহাজডুবিতে অন্তত ৩০০ পাকিস্তানি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়ায় হামলার বিষয়ে হুঁশিয়ারি
মঙ্গলবার (২০ জুন) এ তথ্য উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে।
মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটি লিবিয়া থেকে ৭৫০ যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি জমায়। পথিমধ্যে আরো কিছু যাত্রী মিশর থেকে তুলে নেয়। এতে যাত্রীর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যায়।
পাকিস্তানিদের এ সময় ডেকের নিচের দিকে দেয়া হয়। পরে নৌকাটি গ্রিসের উপকূলে গেলে ডুবে যায়। নিচের দিকে পাকিস্তানিরা থাকায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশিই হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ায় সহিংসতায় নিহত ৩৬
এই বছর লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে প্রস্থানের পরিমাণ ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ইইউ কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স ইলভা জোহানসন।
গ্রীক এবং ইইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা জানত না যে জাহাজটি অসুবিধায় ছিল। অবশ্য এনজিও সংস্থাগুলো বলেছে, তারা সাহায্যের জন্য বেশ কয়েকটি কল পেয়েছে।
সাগরে সমস্যায় থাকা উদ্বাস্তুদের জন্য জরুরি হটলাইন এলার্ম ফোন জানিয়েছে যে জাহাজটি যখন সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল, কোস্টগার্ডরা বিষয়টি অবহিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হন্ডুরাসে কারাগারে সহিংসতা, নিহত ৪১
বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির একটি তদন্ত থেকে দেখা যায়, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা স্থির ছিল। তবে নৌকাটি ইতালির দিকে অগ্রসর হতে হতেই ডুবেছিল বলে গ্রীক কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
নৌকাটি উদ্ধারের জন্য আগে কেন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য জাতিসংঘ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে এ ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া একজন জানিয়েছে, গ্রিক কোস্টগার্ড ভুল জায়গায় রশি বেঁধে নৌকাটি তীরে নেয়ার চেষ্টা করছিল। এর মধ্যেই নৌকাটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ২৮টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের
জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় তারা কাছাকাছি কোথাও ছিল না বলে জানিয়েছে গ্রীক কর্তৃপক্ষ।
আমি শরণার্থী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি ইউরোপীয়দের নির্লিপ্ততা ও সহনশীলতা দেখে স্তম্ভিত হয়েছি বলে জানিয়েছেন কাউন্সিল অফ ইউরোপের মানবাধিকার কমিশনার দুনজা মিজাতোভিচ। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
সান নিউজ/এইচএন