ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লাগা দাবানল ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আগুনের ভয়াবহতার কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগুনে বৈদ্যুতিক তার পুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে পারে বলে আশংকা করছে দমকল বাহিনী। রাজ্য জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। খবর সিএনএনের।
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, বজ্রবিদ্যুৎ থেকেই আগুন লেগেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। তার সঙ্গে চলছে হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহ। যার ফলে আগুন আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। সেটা করতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে এবং পাইলট মারা যান।
গত বুধবার (১৯ আগস্ট) ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রথম আগুন লাগে। এর আগে তিনদিনে ১১ হাজার বার বজ্র-বিদ্যুতের কবলে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। পরিবেশবিদদের বক্তব্য, এ বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেথ ভ্যালিতে পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৫৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে বহু গুণ বেশি। এই পরিস্থিতিতে বজ্র বিদ্যুৎ থেকে আগুন লেগে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়।
সান ফ্রান্সিসকো বে অঞ্চলেও আগুন ছড়িয়েছে। পুলিশ এবং দমকলকর্মীরা সেখানে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রবল হাওয়ার কারণে দমকলকর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ কর্মীরা মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অ্যারিজোনা, টেক্সাস থেকেও দমকলকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে প্রায় ৪৫মিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গোটা এলাকাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ায় আগুনের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অন্ধকারে বসবাস করছেন।
কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়াতেও এমনই ভয়াবহ দাবানল হয়েছিল। বহু সপ্তাহ লেগেছিল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে অস্ট্রেলিয়ার আগুন খুব বেশি জনবসতির ক্ষতি করতে পারেনি। ক্যালিফোর্নিয়ার আগুনে এর মধ্যেই একের পর এক জনবসতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে।