আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরব সাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আঘাতে ভারতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রাণহানি ঠেকাতে উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে লাখ লাখ মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। খবর রয়টার্সের।
আরও পড়ুন : তত্ত্বাবধায়কের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই
আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেলে ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের করাচি উপকূলে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার বেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে।
আরও পড়ুন : বাইডেন ও ন্যাটো প্রধানের বৈঠক বাতিল
মুম্বাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় জুহু সৈকতে সমুদের পানিতে ডুবে গেছে চার তরুণ। এ পর্যন্ত দু’জনের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। বাকিদের খোঁজে এখনো অভিযান চলছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে উত্তাল রয়েছে আরব সাগর। এর প্রভাবে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের কুচ ও রাজকোট জেলায় গাছ উপড়ে এবং দেওয়াল ধসে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : দেশে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু
গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যের অন্তত আটটি জেলায় ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় তাণ্ডব চালাতে পারে। এ কারণে এসব এলাকার সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া।
ত্রাণ কমিশনার অলোক কুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে এরই মধ্যে ২০ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাস ভাড়া বাড়ালে ব্যবস্থা
ভারতের মতো প্রতিবেশী পাকিস্তানেও ঝড়ের শঙ্কায় মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমান বলেছেন, স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবনগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে আধাসামরিক বাহিনী ও স্থানীয় বেসামরিক কর্তৃপক্ষগুলো।
১৯৯৮ সালে গুজরাটে এক শক্তিশালী ঝড়ে অন্তত চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি ডলারের।
সান নিউজ/এমআর