আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মঙ্গলবার চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: বেশিরভাগই রাশিয়াকে সমর্থন করে
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বেইজিং বলেছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচনা সহজতর করতে সহায়তা করার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে।
চীন জানিয়েছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে এটি আব্বাসের পঞ্চমবার সরকারি সফর এবং শুক্রবার পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তিনি।
সফরকালে আব্বাস প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৫
বার্তা সংস্থাটি জানায়, দুজনের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতির পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয় নিয়ে মত-বিনিময় হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথেও প্রেসিডেন্ট আব্বাস বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত সপ্তাহে বলেন, দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনি নেতা ‘চীনা জনগণের একজন পুরানো এবং ভালো বন্ধু।’
আরও পড়ুন: কৃষকের জমি রক্ষার দায়িত্বে পেঁচা!
তিনি আরও বলেন, ‘চীন সব সময় দৃঢ়ভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ জাতীয় অধিকার পুনরুদ্ধারের ন্যায়সঙ্গত কারণকে সমর্থন করেছে।’
মার্কিন প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে বেইজিং মধ্যপ্রাচ্যের সাথে তার সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বেইজিংয়ের এই প্রচেষ্টা ওয়াশিংটনে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি আরব আউটরিচ ট্রিপে সৌদি আরব সফর করেন। সেখানে আব্বাসের সাথে তার বৈঠক হলে ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্রুত, ন্যায্য ও টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত সপ্তাহে রিয়াদ সফরকালে দীর্ঘদিনের মিত্রের সাথে উত্তেজনার পরে একটি সমঝোতামূলক সুরে বলেন, সৌদি আরবকে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে যে কাউকে বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আব্বাস জাকি এই সপ্তাহে প্রকাশিত চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীন ও ফিলিস্তিনিরা ‘ভাইয়ের চেয়েও ঘনিষ্ঠ বন্ধু’।
তিনি আরও বলেন, গত বছর চীন-আরব রাষ্ট্র সম্মেলনের পর চীন মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে আরো বেশি সম্পৃক্ত হয়েছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত। সূত্র : বাসস
সান নিউজ/এইচএন