ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরিকে হত্যার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে দেশটির ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর এক সদস্য। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) জাতিসংঘ সমর্থিত এক ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেলিম আয়াশ নামের ওই সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করলেও পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে গোষ্ঠীটির অপর তিন সদস্যকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ফর লেবানন (এসটিএল) এর রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন রফিক হারিরির ছেলে ও দেশটির আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী বৈরুতে এক ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন লেবাননের ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। ওই ঘটনায় আরও ২১ জন নিহত হয়। এই ঘটনার বিচারে জাতিসংঘের সমর্থনে নেদারল্যান্ডসের হেগে গঠন করা হয় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালটি ওই বিস্ফোরণের জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর চার সদস্যকে অভিযুক্ত করে। তাদের অনুপস্থিতিতেই শুরু হয় বিচার কাজ। রায় ঘোষণার সময়েও তারা অনুপস্থিত থেকেছেন। রফিক হারিরি হত্যার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে হিজবুল্লাকে কখনো অভিযুক্ত করা হয়নি। আর গোষ্ঠীটিও এতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে।
রফিক হারিরিকে হত্যার ঘটনায় হিজবুল্লাহর যে চার সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয় তারা হলেন সেলিম আয়াশ, আসাদ সাবরা, হাসান ওনাইসি এবং হাসান হাবিব মেরহি। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময়ে ট্রাইব্যুনালের এক বিচারক জানিয়েছেন, প্রসিকিউটরের চিহ্নিত করা আয়াশের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন বোমা হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুই হাজার ছয়শ’ পৃষ্ঠার রায়ের সারাংশে বিচারক জ্যানেট নোসওর্দি বলেন, অপর তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেননি প্রসিকিউটররা।
বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে লেবাননের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বলেন, তার বাবাকে যারা হত্যা করেছিল তারা লেবাননের ভাগ্য, এর ব্যবস্থা এবং সভ্য পরিচয় পাল্টে দিতে চেয়েছিল। এই রায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনও আপস হবে না বলেও জানান তিনি।