আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
আরও পড়ুন : সংলাপের কোনো বিকল্প নেই
কয়েক বছর ধরে ইরান, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম নিয়ে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ সামনে এসেছে। ইরানের সাথে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার চালু করার পর এই প্রথম দেশটিতে গেলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সৌদি সফরে গিয়ে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। মূলত সেখানে আর্থিক সহযোগিতা, ক্লিন এনার্জি ও প্রযুক্তিগত বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন : সুদানে বোমা হামলায় নিহত ১০
সফর কালে অ্যান্টনি ব্লিংকেন অন্য সৌদি নেতাদের সাথেও দেখা করবেন।
সৌদি আরব তাদের তেল উৎপাদন দিনে ১০ লাখ ব্যারেল হ্রাস করেছে। তেলের দাম যাতে বাড়ে, তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কিন্তু এ সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র খুশি নয়। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার হয়েছে।
আরও পড়ুন : অনিয়ম খতিয়ে দেখা হবে
ব্লিংকেনের এই সফরের ২ টি উদ্দেশ্য আছে। প্রথমটি, তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখা। দ্বিতীয়টি, মধ্যপ্রাচ্যে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব খর্ব করা। এছাড়া তাদের আশা, সৌদি ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্কও এবার ভালো হবে।
ওয়াশিংটনের থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন অব ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসিস-এর পরামর্শদাতা রিচার্ড গোল্ডবার্গ জানান, ব্লিংকেনের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো- চীন ও সৌদি আরব যাতে খুব কাছাকাছি না আসে তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন : নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন
ব্লিংকেন সৌদি আরবকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন, চীন কেন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে থাকলে সৌদি আরবের কী লাভ হবে।
খবর : ডয়চে ভেলে
সান নিউজ/এনজে