আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হাইতিতে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অনন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছে আরও ১১ জন। এছাড়া আহত লোকের সংখ্যা ৮৫।
আরও পড়ুন: আজ কুয়েতে নির্বাচন
সোমবার (৫ জুন) দেশটির জনসুরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় জরুরি পরিচালনা কেন্দ্রকে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লিওগানের পরিস্থিতি বেশি খারাপ। শহরটির আশপাশের তিনটি নদী প্লাবিত হওয়ায় এ ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আসাম-অরুণাচল সীমান্তে সংঘর্ষ, নিহত ২
এখানে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির কর্মকর্তারা।
লিওগানের মেয়র আর্নসন হেনরি বলেন, ‘শহরবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা সবকিছু হারিয়েছেন।’
মেয়র হেনরি হাজারো পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, খাওয়ার পানি ও ওষুধ দরকার।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৮০ ছাত্রী হাসপাতালে
হাইতিতে নিয়োজিত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয়ক জঁ মার্টিন বাওয়ের বলেন, ‘যদিও এটি হারিকেন বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় নয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অবস্থা আমলে নেওয়ার মতো।’
অর্থনৈতিক দুরবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গ্যাং সহিংসতার জেরে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশটিতে মানবিক সংকট চলছে। এ অবস্থায় দেশটির ১০ বিভাগের মধ্যে ৭টিই বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ল।
আরও পড়ুন: ওমরাযাত্রীদের জন্য নতুন নির্দেশনা
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে ৩৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ। এই বন্যার আগে হাইতির প্রায় অর্ধেক মানুষের মানবিক সহায়তার দরকার ছিল। গত পাঁচ বছরে সংখ্যাটি দ্বিগুণ হয়েছে বলেও জানিয়েছে এই সংস্থাটি।
সান নিউজ/এইচএন