আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেনেগালে বিরোধী নেতা ওসমানে সোনকোকে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়ায় দেশটি বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : যেসব পণ্যের দাম কমবে বা বাড়বে
যুবকদের ভুল পথে চালিত করার অভিযোগে জেল হয়েছে তার।
শুক্রবার (১ জুন) সকাল থেকে এ রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন : দ.আফ্রিকায় গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
সংবাদ মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুইটি শহরে বিক্ষোভে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন সোনকো। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। তবে তা প্রমাণিত হয়নি। কিন্তু যুবকদের ভুল পথে চালিত করার অভিযোগে তার ২ বছরের জেল হয়েছে। যুবকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় তিনি।
আরও পড়ুন : করমুক্ত আয় সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা
এদিকে সোনকোর অভিযোগ, তিনি যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সেজন্য ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি বিচার প্রক্রিয়া বয়কট করেছিলেন। কিন্তু রায় বের হওয়ার আগে তাকে জোর করে ডাকারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের রায়ের পরই সেনেগালের রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বাসে আগুন ধরান ও দাঙ্গাবিরোধী পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা।
সোনকোর দল পিএএসটিইএফ বলছে, এ রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আরও পড়ুন : জুনে বৃষ্টি কম হবে
ডাকারে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে কালো ধোঁয়া আকাশে উঠতে দেখা যায়। সেখানে একাধিক বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
অবশ্য সরকারি মুখপাত্র দাবি করেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোনকো তৃতীয় হয়েছিলেন। সেনেগালের নিয়ম হলো, কোনও রাজনীতিক যদি গুরুতর অপরাধে শাস্তি পান, তাহলে তিনি আর প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না। যুবকদের বিপথে চালিত করার থেকে ধর্ষণ অনেক গুরুতর অপরাধ।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে বিস্ফোরণে নিহত ৫
অবশ্য যুবকদের বিপথচালিত করার জন্য সোনকো আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধর্ষণের মামলায় সোনকোর শাস্তি হয়নি।
সোনকোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি একটি ম্যাসাজ পার্লারের নারীকে যৌননিগ্রহ করেছিলেন এবং হত্যার হুমকি দিয়েছেন। সেজন্য তার দশ বছরের জেল চেয়েছিলেন সরকারি আইনজীবীরা।
আদালত জানিয়েছে, এ অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
সান নিউজ/এনজে