আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি, আকাশ শক্তিসহ সব উপায় ব্যবহার করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সামনের কয়েকদিন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : জিএমপি কমিশনার হলেন মাহবুব আলম
বুধবার (৩১ মে) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার পর্যন্ত নোভা স্কোটিয়ায় ১৩ টি দাবানলের আগুনে পুড়েছে ২০ হাজার হেক্টর অঞ্চল। ইতোমধ্যে ১৩ টি মধ্যে ৩ টি দাবানল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। দাবানলের কারণে ঐ প্রদেশের অনেক বাসিন্দা সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন : ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
প্রদেশটির সবচেয়ে বড় শহর হ্যালিফেক্সের ১৮ হাজার বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দাবানলের ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে ২০০ টিরও বেশি অবকাঠামো। যার মধ্যে বেশিরভাগই হলো বাড়ি-ঘর। তবে এ পর্যন্ত কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
উষ্ণ, শুষ্ক এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে টানটালোন কমিউনিটির কাছে ৮৩৭ হেক্টর দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন : দেশের ৫২তম বাজেট ঘোষণা আজ
ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে। এতে ক্লান্ত দমকলকর্মীরা সহজেই মুক্তি পাচ্ছেন না।
হ্যালিফ্যাক্সের আঞ্চলিক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগের উপ-প্রধান ডেভ ম্যালড্রাম জানান, দমকলকর্মীরা গত ৪ দিন ধরে প্রায় সবকিছু ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীকে এরদোয়ানের ফোন
আগুন নেভানোর জন্য প্রদেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে, সেটি দিয়ে এ দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নোভা স্কোটিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পরিচালক।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে অবকাঠামো বাঁচানোর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই নোভা স্কোটিয়ায় দাবানল দেখা যায়। তবে সেগুলো কয়েকশ একর অঞ্চল পুড়িয়েই নিভে যায়।
আরও পড়ুন : নামিবিয়ায় পোরিজ খেয়ে ১৩ জনের মৃত্যু
কিন্তু রেকর্ড ভাঙা ব্যারিংটন লেকের দাবানল ২০ হাজার একর জায়গা জুড়ে ছড়িয়েছে এবং এটি এখনো ছড়াচ্ছে।
এর আগে নোভা স্কোটিয়ায় সবচেয়ে বড় দাবানল দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে। ঐ বছর ভয়াবহ আগুনে পুড়েছিল ১৩ হাজার হেক্টর অঞ্চল।
খবর : দ্য গার্ডিয়ান
সান নিউজ/এনজে