ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে আবারও জ্বলছে আগুন৷ চলতি বছর গতবারেরও চেয়ে আগুনের ভয়াবহতা বেশি হবে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
স্থানীয় প্রশাসন আমাজনে আগুন লাগার কথা জানালেও ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো আগুনের কথা অস্বীকার করেছেন। খবর গার্ডিয়ানের।
আমাজন জঙ্গলে গাছ কাটা এবং নাশকতার উদ্দেশ্যে আগুন লাগানোর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলের রোষের মুখে পড়েছে ব্রাজিল সরকার৷ গত নয় বছরের মধ্যে ২০১৯ সালের আগস্টে আমাজনে আগুনের ভয়াবহতা ছিলো সবচেয়ে বেশি৷ তবে এ বছরের আগস্টে আগুনের যে অবস্থা তা গত বছরের ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের৷
দেশটির জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে বলছে, আগস্টের প্রথম ১০দিনে ১০ হাজার স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে, এক বছর আগে এই সময়ে এর ১৭ শতাংশ স্থানে আগুন জ্বলেছিল৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগুনের প্রকৃতি দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটা স্বাভাবিক আগুন নয়, অর্থাৎ প্রকৃতির সৃষ্ট নয়৷ অবৈধভাবে জমি দখল, কৃষিকাজ, জমি পরিষ্কারের জন্য অরণ্যে আগুন লাগিয়েছে মানুষ৷
২০১৯ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমাজনে যে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল, তার ধোঁয়া আমাজন থেকে হাজারো কিলোমিটার দূরের রাজধানী সাও পাওলো পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল৷ জলবায়ু পরিবর্তনে আমাজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ তাই এই অরণ্যে আগুন বিশ্বের জন্য বড়ধরনের হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘ সময় অবস্থান করবে৷ ফলে গত বছরের চেয়েও আগুনের ভয়াবহতা বেশি হবে৷
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইন ফরেস্ট রক্ষায় আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে ব্রাজিল সরকারের উপর৷ আমাজন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে৷ ফলে এই অরণ্যের ক্ষতি হলে বিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ আশংকাজনক হারে বেড়েই চলবে৷
ব্রাজিল সরকার আমাজন রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ব্রাজিলে শস্য, বাণিজ্য খাত সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ বন্ধের হুমকি দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা৷
সান নিউজ/ আরএইচ