আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্বিতীয় দফার ভোটে বিজয়ী হয়ে আবারও টানা তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারগলুর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন : নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে
রোববার (২৮ মে) দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।
ডেইলি সাবহার প্রতিবেদনে দেখানো হয়, দেশটিতে মোট ভোটার ৬ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ৫ কোটি ২৪ লাখ ৭১ হাজার ২৯ জন। যেখানে ভোটার উপস্থিতির হার ৮৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ৫ কোটি ১৮ লাখ ৮ হাজার ৬৯০টি ভোট বৈধ এবং ৬ লাখ ৬২ হাজার ২৩৯টি ভোট অবৈধ বলে গণ্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কমল সোনার দাম
তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা)। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। সন্ধ্যার পর থেকেই কেন্দ্রগুলোর প্রাথমিক ফলাফল আসতে থাকে।
এদিন ইস্তাম্বুলে ভোট এরদোয়ান ও আঙ্কারায় ভোট দেন কেমাল কিলিচদারগলু। ইস্তাম্বুলে এরদোয়ানের সমর্থকরা তৃতীয় মেয়াদে তার জয় নিয়ে আগে থেকেই আত্মবিশ্বাসের কথা জানান।
আরও পড়ুন : নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না
এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্বনেতারা এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ এক টুইটে লিখেছেন- ‘প্রিয় ভাই আমার রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান, আপনার বিজয়ে অভিনন্দন। নতুন মেয়াদে আপনার সফলতা কামনা করছি।’
আরও পড়ুন : সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ২ জনের মৃত্যু
গত ১৪ মে অনষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। দেশটির নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টকে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়৷ প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট৷ যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কেমাল পান ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
এর আগে তুরস্কে ৯ বছর প্রেসিডেন্ট এবং ১১ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এরদোয়ান। এরদোয়ান ২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন।
সান নিউজ/এমআর