আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) জেষ্ঠ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের আর কোনো ভবিষ্যত নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং বৈঠক আজ
দু’সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সেনা নিবাস ও সেনা দপ্তরে যে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, সেটিও পিটিআইয়ের পূর্ব পরিকল্পিত ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।
মরিয়ম বলেন, ‘আপনার খেলা শেষ। কেউ আর পিটিআইয়ের টিকিটে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না। জাতি আর ইমরান খান ও তার অনুসারীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ৯ মে’র হামলা কোনো স্বতস্ফূর্ত ঘটনা ছিল না। আগে থেকেই এই হামলার ছক করা হয়েছিল জামান পার্কে (লাহোরে ইমরান খানের বাসভবন ওই এলাকায়)।’
গত ৯ মে ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ এবং সেনা স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পিটিআইয়ের শীর্ষ-মাঝারি ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা একের পর এক দল ছাড়তে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৭০ জন নেতা পিটিআই থেকে সরে গেছেন।
আরও পড়ুন: জরুরিভিত্তিতে সংলাপ চান ইমরান
মরিয়ম নওয়াজ বলেন, ‘নেতাকর্মীরা কখনও শেয়ালের সঙ্গে দাঁড়ায় না। আপনি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, এখন আপনাকে ছেড়ে লোকজন চলে যাচ্ছে।’
ইমরান খানকে ৯ মে হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করে মরিয়ম আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে উচ্ছেদ করার জন্য এই হামলার ষড়যন্ত্র আগে থেকেই করেছিল পিটিআই এবং তার মাস্টারমাইন্ড হলেন ইমরান খান… বেছে বেছে কেবল সরকারি ভবন ও সেনা দপ্তরগুলোতে হামলার ষড়যন্ত্র করেছিল পিটিআই।’
‘ইমরান নয়, আপনার নাম হওয়া উচিত ছিল ফিৎনা খান এবং পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ফিৎনা থেকে মুক্তি চাইছে।’
৯ মে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে পিএমএলএনের এই শীর্ষ নেত্রী বলেন, ‘৯ মে’র সহিংসতায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের জন্য এখনও আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আজকের এই সভা আমি সেই হামলায় নিহতদের অভিভাবক, সন্তান ও স্ত্রীদের প্রতি উৎসর্গ করছি।’
সান নিউজ/এনকে