আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে সরকার।
আরও পড়ুন : বেঁধে দেওয়া হলো ওমরাহর সময়
রাষ্ট্রের ভিত্তির ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)-কে অভিযুক্ত করেছেন, এবং এটা সহ্য করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন খাজা আসিফ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমরান খানের গ্রেফতারের ফলে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সরকারি ভবন ও সামরিক কম্পাউন্ডে ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনার পর পিটিআইয়ের হাজার হাজার সমর্থক ও দলের বেশ ক’জন সিনিয়র নেতাকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : রাশিয়ায় হামলায় ৭০ বিদ্রোহী নিহত
ইমরান খানের কাছ থেকে দল নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে তিনি ওই সহিংসতার বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে বলেন, প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার উদ্দেশ্য ভারতের হতে পারে তবে পাকিস্তানের নয়।
তিনি আরও বলেন, পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, “তবে আমরা অবশ্যই পিটিআই-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করছি"।
আরও পড়ুন : স্বল্প দূরত্বে ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ
৯ই মের ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি জানিয়ে খাজা আসিফ বলেন, বরং পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, সদর দফতর, গুজরানওয়ালা সেনানিবাস এবং মিয়ানওয়ালিতে বিমান ঘাঁটিসহ অন্যান্য স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
ইমরান খান সেনাবাহিনীকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেন বলেও মন্তব্য করেন খাজা আসিফ।
"তার পুরো রাজনীতিই [একসময়] বসে থাকতো সেনাবাহিনীর কোলে এবং আজ হঠাৎ করেই তিনি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
আরও পড়ুন : মারাত্মক মহামারি আসছে
“আমি যেটা বলছি সেটা পিটিআই ত্যাগকারীরাও সবাই বলছেন ... তারা বলেছে যে সবকিছু পরিকল্পনা করেই হয়েছে"।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আলী জাফর বলছেন, পিটিআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও, সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের পদক্ষেপকে "এক দিনের মধ্যে বাতিল এবং অকার্যকর" ঘোষণা করতে পারে, কারণ পাকিস্তানে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ১৯৬০-এর দশকে জামায়াত-ই-ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে জাফর বলেন, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অ্যালভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস যেটিকে বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন : সড়ক দুর্ঘটনায় অভিনেত্রীর মৃত্যু
“জামাত-ই-ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা অনেক আগেই হয়েছিল ... ওই আদালত বলেছিল যে আপনি একটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করতে পারেন না এবং সবার রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার রয়েছে," বলেছিলেন তিনি।
"নাশকতা যা হয়েছে, সেটি ছিল ব্যক্তিগত কাজ … [তার জন্য] কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না,"
তিনি জোর দিয়ে বলেন, "যদি এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তবে আমার বিশ্বাস যে এই একই আদালত একদিনের মধ্যে তা বাতিল ঘোষণা করবে।" সূত্র : বিবিসি
সান নিউজ/এইচএন