আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ এমিলিয়া-রোমাগনায় তুমুল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ
৬ মাস বৃষ্টিপাতের পর গত দেড় দিনে এ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় প্রায় ১৩ হাজার লোককে তাৎক্ষণিক বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বোলোগনা শহর ও উত্তর-পূর্ব উপকূলের মধ্যে প্রায় ১১৫ কিলোমিটারের ভেতর প্রায় প্রতিটি নদী প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এসব এলাকা থেকে আরও মরদেহ পাওয়া গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৮০টি ভূমিধস হয়েছে। দমকলকর্মীরা লোকজনকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পাঠাতে সহযোগিতা করে। বোলোগনার দক্ষিণে বোটেঘিনো ডি জোকা এলাকায় রবার্টা লাজারিনির (৭১) বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রোজ মেরিনার্স ভবন’ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা
রবার্টা লাজারিনি বলেন, খুব খারাপ ৪৮ ঘণ্টা পার করলাম। পুরো গ্রাম পানি-কাদায় ডুবে গেছে। বুধবার গ্রামের রাস্তা, বাড়ি, বাগান সব প্লাবিত হয়েছে। জীবনে এ এলাকায় এমন কিছু দেখিনি। জলাবদ্ধ হয়ে পড়লে কী করতে হবে তাৎক্ষণিক বুঝতে পারিনি।
এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে শুধু নদী নয়, খালগুলোও প্লাবিত হয়েছে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন মিনিস্টার নেলো মুসুমেসি বলেন, ইতালির জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রূপ নিয়েছে। ৩৬ ঘণ্টায় গড়ে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বেশ ভালো
তিনি জানান, গত ৪০ বছরে কোনো অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হাইড্রোলিক ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সরকার আগামী মঙ্গলবার সংকটকালীন বৈঠক আহ্বান করেছেন।
এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশের প্রেসিডেন্ট স্টেফানো বোনাচ্চিনি বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
সান নিউজ/এনকে