ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও অস্ত্রবিক্রির সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে একথা জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা এবং নতুন একটি বৃহত্তর সম্পর্ক গড়ে তুলতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মিসর ও জর্ডানের পর তৃতীয় আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে আমিরাত। এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের বড় ক্রেতা দেশটি।
শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেইডম্যান বলেছেন, আমিরাত যত ইসরায়েলের মিত্র, অংশীদার ও যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক মিত্র হবে, আমি মনে করি এতে হুমকির মাত্রা কমবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিক্রিতে আমিরাত লাভবান হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, আরব দেশগুলোর তুলনায় তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র পাবে। যেমন- লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান যুদ্ধে ব্যবহার করেছে ইসরায়েল কিন্তু আমিরাত এখনও তা কিনতে পারেনি।
নিয়ার ইস্ট পলিসি থিংকট্যাংকের ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক প্রকল্পের পরিচালক ডেভিড মাকোভস্কি বলেন, এই চুক্তিটি আমিরাতের জন্য জয়। এর ফলে আমিরাত সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারবে যেগুলো এখন শুধু ইসরায়েলই কিনতে পারে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র এগুলো বিক্রি করে না আরব দেশগুলোর কাছে।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমিরাতের কাছে ৪ হাজার ৫৬৯টি মাইন রেসিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেকটেড যান বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এগুলোর মূল্য ৫৫৬ মিলিয়ন ডলার।