আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
আরও পড়ুন : মোখার তাণ্ডবে নিহত ৩
রোববার (১৪ মে) রাজধানী ইস্তাবুলের উসকুদারে নিজের ভোটটি প্রদান করেন তিনি।
একই কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন এরদোয়ানের স্ত্রী এমিনি। প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ভোট দিতে আসার আগেই ওই কেন্দ্রে হাজার হাজার কর্মী উপস্থিত হন। তারা ওই এলাকাটি বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন।
ভোট শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি বলেন, কোনো সমসা ছাড়াই দেশজুড়ে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষও ভোট দিচ্ছে। সেখানেও কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন : রাশিয়ার চার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের উজ্জ্বল ভবিষৎ কামনা করছি, একই সঙ্গে টার্কিশ গণতন্ত্রের।
এ সময় তিনি সব নাগরিকদের কোনো ধরনের উদ্বেগ ছাড়াই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তুরস্কের শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এরদোয়ানের প্রত্যাশা ভোটের ফলাফল এমন হবে, যা তুরস্কের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমার চাওয়া, সন্ধ্যায় ভোট গণণা শেষে, এর ফলাফল আমাদের দেশের ভবিষ্যত, তুরস্কের গণতন্ত্রের জন্য ভালো হবে।’
অপরদিকে এরদোয়ানের সাবেক মিত্র ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলী বাবাচান রাজধানী আঙ্কারায় নিজের ভোট প্রদান করেন। বাবাচান মধ্য-ডানপন্থি ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড প্রোগ্রেস (ডিইভিএ) পার্টির নেতা।
আরও পড়ুন : সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ১৮
এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানকে হারাতে যে ছয়টি দল এক হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাবাচানের ডিইভিএ পার্টি। এই ছয় জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যদি তাদের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কেমাল কেলিকদারোগলো নির্বাচনে জয় পান তাহলে বাবাচানকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট বানানো হবে। তুরস্কের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওগানও রাজধানী আঙ্কারায় নিজের ভোটটি দিয়েছেন। সবমিলিয়ে ২০২৩ সালের নির্বাচনে চারজন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের চারদিন আগে হঠাৎ করে মুহরেম ইনস নামের একজন সরে দাঁড়ান।
সান নিউজ/জেএইচ