আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপির হাতছাড়া হলো কর্ণাটক। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বিজেপির পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : সেনা শাসন আসার সম্ভাবনা নেই
শনিবার (১৩ মে) দেশটির স্থানীয় সময় দুপুর পর্যন্ত রাজ্যের ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩১ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। অপরদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপি ৬৫ আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
‘প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি কর্মীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা দাগ কাটতে পারিনি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। তিনি আরও বলেন, পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হলেই আমরা পর্যালোচনা করব।
আরও পড়ুন : সহিংসতার জন্য দায়ী সেনাপ্রধান
কর্ণাটক রাজ্যে সকাল ৮ টা থেকে বিধানসভা ভোটের গণনা শুরু হয়। গত বুধবার (১০ মে) বিধানসভা ভোটে মোট ৭৩.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১৮ সালেও ভোটের হার প্রায় একই ছিল।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের রাজ্য কর্ণাটক। এখানে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। রাহুল গান্ধীও কর্ণাটকে ১২ দিন সময় দিয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ২৬টি জনসভা ও রোড শো করেছেন। সোনিয়া গান্ধী পর্যন্ত অনেকদিন পর ভোটের প্রচারে নামেন।
আরও পড়ুন : আমার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল
ভারতের কর্ণাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা খুবই শক্তিশালী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শিবকুমার খুবই দক্ষ সংগঠক। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার জনভিত্তি আছে।
ভোটের আগে বিজেপি-র সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সাভাড়ি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং ভোটে লড়েছেন।
আরও পড়ুন : বিচার বিভাগের মৃত্যু হয়েছে
অপরদিকে বিজেপি-র প্রচারে সবচেয়ে বড় মুখ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ও অমিত শাহ সবচেয়ে বেশি জনসভা ও রোড শো করেছেন। তবে শেষ কথা হচ্ছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে হাতছাড়া হলো।
সান নিউজ/এইচএন