আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে ই জিন ক্যারল নামের এক নারীকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ভেতর যৌন হয়রানি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের নির্বাহী আদালতের ৯ সদস্যের জুরি।
আরও পড়ুন : আ’লীগ জনগণের রায়ের ওপর আস্থাশীল
তবে ই জিন ক্যারলের দাবি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। যদিও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২০১৯ সালে যৌন হয়রানি ও ধর্ষনের অভিযোগ আনার পর ক্যারলকে ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প। এতে ঐ নারীর মানহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুরি।
আরও পড়ুন : ভারতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২২
মঙ্গলবার (৯ মে) এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ক্যারলকে ৫০ লাখ ডলার জরিমানা দেওয়ার রায় দেওয়া হয়। এ অর্থ ট্রাম্পের জন্য খুব বেশি কিছু না হলেও, যৌন হয়রানির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি তার জন্য আইনগতভাবে একটি বড় ধাক্কাই বলা যায়।
তবে ট্রাম্পকে এখনই জরিমানার অর্থ দিতে হবে না। কারণ তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টেভেন চিউং জানিয়েছেন, তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন : হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ রায় দেওয়ার পর অভিযোগকারী ক্যারল হাসিমুখে আদালত থেকে বের হয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি জানান, ‘বিশ্ব এখন সত্যিটা জানল।’
খবর : আল জাজিরা
সান নিউজ/এনজে