আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর দক্ষিণে অবস্থিত আরেকুইপা অঞ্চলের একটি স্বর্ণখনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ১৭৫ জন খনি শ্রমিককে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : কেরালায় নৌকাডুবে ২০ জনের মৃত্যু
সোমবার (৮ মে) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি বলছে, পেরুতে একটি সোনার খনিতে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত ২০
খনি সংস্থা ইয়ানাকুইহুয়া জানিয়েছে, এ ঘটনার পর ১৭৫ জন খনি শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার এই খনিটি দেশটির দক্ষিণে অবস্থিত আরেকুইপা অঞ্চলের ছোট একটি খনি।
ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে খনিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন : বোয়ালমারীতে ঋণের চাপে বৃদ্ধার আত্মহত্যা
কর্মকর্তারা জানান, আগুন ছড়িয়ে পড়ার সময় খনি শ্রমিকরা ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) গভীরে কাজ করছিলেন।
স্থানীয় মিডিয়া থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, পাহাড়ি এলাকা থেকে আগুন ও ধোঁয়া বের হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঢাকাসহ ২৭ জেলায় তাপপ্রবাহ
ইয়ানাকুইহুয়া জানায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তারা জরুরি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটির দাবি, এই অত্যন্ত দুঃখজনক সময়ে আমরা শোকাহত এবং উদ্ধারকৃত খনি শ্রমিকদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে ফের বন্দুক হামলা, নিহত ৯
এদিকে আঞ্চলিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যে খনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে নিকটতম পুলিশ স্টেশনটি প্রায় ৯০ মিনিটের দূরত্বে এবং নিকটতম শহর থেকে কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। এটি জরুরি উদ্ধারকাজকে আরও জটিল করে তোলে।
পেরুর সংবাদপত্র লা রিপাবলিকা বলছে, অগ্নিকাণ্ডের পর নিখোঁজ খনি শ্রমিকদের আত্মীয়রা রোববার (৭ মে) ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তাদেরকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদক দেশ পেরু। দেশটি বছরে ১০০ টনেরও বেশি খনন করে, যা পুরো বিশ্বের বার্ষিক সরবরাহের প্রায় ৪ শতাংশ।
সান নিউজ/এনজে