আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া ড্রন হামলার পর, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের খেরসনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে। এতে ২১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: লন্ডনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার খেরসন শহর ও এর আশপাশের এলাকায় আবাসিক ভবন ও রেলস্টেশনসহ বহু স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীর হামলায় ২১ প্রাণহানির পাশাপাশি আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, হামলায় আরও ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ভাষায়, ‘সব বেসামরিক নাগরিক! দিন এখনো শেষ হয়নি! এক অঞ্চলেই এত হতাহত!’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের এ হামলায় যেসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, তার মধ্যে হাইপারমার্কেট, রেলওয়ে স্টেশন ও ক্রসিং, পেট্রল স্টেশন এবং আবাসিক ভবনও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’
এর আগে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেন, রুশ হামলায় এই অঞ্চলের রাজধানী শহর খেরসনে ১২ জন নিহত হয়েছেন। মূলত হামলার পর সেখানকার একটি হাইপারমার্কেটে আগুন লেগে যায়। ঘটনার সময় বহু মানুষ সেখানে তাদের কেনাকাটা করছিলেন। এ ছাড়া একটি রেলস্টেশনে গোলাবর্ষণের ঘটনায়ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন অঞ্চলের এলাকা থেকে চালানো হামলায় মূল শহরের বাইরের গ্রামে আরও চারজন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই চারজনের মধ্যে তিনজন প্রকৌশলী। হামলার সময় তারা আগের রুশ হামলায় পাওয়ার গ্রিডের ক্ষতি মেরামত করার চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে খেরসন শহরের ওই হাইপারমার্কেটের বাইরে মাটিতে রক্ত এবং ধ্বংসাবশেষের স্তূপ পড়ে আছে বলে ঘটনাস্থলে থাকা রয়টার্সের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন। হামলায় ওই মার্কেটের প্রবেশদ্বারটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হতাহতরা সবাই হাইপারমার্কেটের ক্রেতা বা কর্মী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন অভ্যন্তরীণ বিষয়
ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, ‘যখন শত্রুরা যুদ্ধক্ষেত্রে কিছুই অর্জন করতে পারে না, তখন তারা শান্তিপূর্ণ শহরগুলোতে হামলা চালায়।’
সান নিউজ/এসআই