আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চলছে তুমুল লড়াই। বিবাদমান দুই পক্ষ বার বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ২৩
এদিকে সুদানের লড়াইরত দুই বাহিনীর একটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো বলেছেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বোমাবর্ষণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো আলোচনায় যাবেন না। তার অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও আরএসএফ যোদ্ধাদের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৫ এপ্রিল সামরিক বাহিনী-আরএসএফ সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সুদানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫১২ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ১৯৩ জন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা মন্ত্রণালয়ের হিসেবের চাইতে অনেক বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : তিউনিসিয়ায় আরও ৪১ মরদেহ উদ্ধার
এ পর্যন্ত মোট ৩ বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে সামরিক বাহিনী এবং আরএসএফ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয় দুই বাহিনী।
সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে হেমেদি বলেন, জেনারেল বুরহানের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নেই। তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ঘনিষ্টদের সঙ্গে জেনারেল বুরহানের ব্যাপক ঘনিষ্টতা এবং তাদেরকে সরকারে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টার কারণে বুরহানকে এখন বিশ্বাসঘাতক মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন : বিশ্বে একদিনে ৪ শতাধিক মৃত্যু
বিবিসিকে হেমেদি বলেন, সেনাপ্রধান জেনারেল বুরহানও ওমর আল বশিরের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।
আরএসএফ-কে মূল সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ১০ বছর বিলম্ব চায় সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, আরএসএফ দুই বছরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া উচিত বলে মনে করে।
আরও পড়ুন : বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
সুদানে বেসামরিক শাসনে ফেরার প্রস্তাবিত পদক্ষেপের মূলে আছে আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার এ বিষয়টি। কিন্তু এর সময়সূচি নিয়ে দু,পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরেই শুরু হয়েছে সংঘাত।
সান নিউজ/এমআর